রমজান মাসের আরও কয়েকটি ইবাদত ও ফযীলত
পবিত্র রমযান মাসের আরও কয়েকটি ফযীলত ও ইবাদতের কথা বলে এ প্রসংগের ইতি
টানবো। আশা করি ধৈর্য হারাবেন না।
রমযান মাস মর্যাদায় শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী। আর এই মাসের ইবাদতে অন্যান্য মাস
থেকে অধিক সওয়াব হাসিল হয়। অধিকন্তু রমযান মাসের ইবাদতে মানুষের মধ্যে ফেরেশতাগণের
চরিত্র প্রতিফলিত হয়। এতে মানুষের আত্মা ও চরিত্র উভয়ই সংশোধিত হয়। তাই আত্মা ও
চরিত্র সংশোধন এবং উন্নতির প্রতিবিধানে এখানে কয়েকটি ইবাদত ও ফযীলতের প্রসঙ্গ
উল্লেখ করা গেলঃ-
(ক) এ মাসের চাঁদ উঠলে ঐ রাত্রে দু'রাকাত নামাযের প্রত্যেক রাকাতে সূরা
ফাতিহার পর সূরা ইখলাছ ৩ বার করে পাঠ করলে বিশেষ সওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়।
(খ) হাদীস শরীফ থেকে "দস্তুরুল কোযাত" নামক গ্রন্থে বর্ণিত আছে,
নবী পাক (সাঃ) এরশাদ করেন-রমযান মাসের ১ তারিখের রাত্রে যদি কেউ ২ রাকাত নামায
(যেকোন সূরা দ্বারা) আদায় করে, তবে তার আমলনামা লেখার জন্য আল্লাহপাক সাতশত (৭০০)
ফেরেশতা প্রেরণ করেন। তাঁরা উক্ত ব্যক্তির নেকী বৃক্ষরাজির পত্রসমূহের সংখ্যায়
লিখে থাকেন আর ঐ পরিমাণ পাপ তার আমলনামা থেকে কেটে দেন।
(গ) আমীরুল মো'মীনীন হযরত আলী (রাঃ) থেকে "তোহফাতুল মুজাক্কেরীন"
নামক গ্রন্থে বর্ণিত আছে, নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি রমযান মাসে
প্রত্যহ মাগরিব ও এশার মর্ধবর্তী সময়ে দু'রাকাত নামাযের প্রত্যেক রাকাতে সূরা
ফাতিহা একবার ও সূরা ইখলাছ ৩ বার করে পাঠ করে, করুণাময় আল্লাহ তা'আলা তার প্রত্যেক
রাকাত নামাযের বদেৌলতে ৭০,০০০ (সত্তর হাজার) ফেরেশতা তার নেকীসমূহ কেয়ামত পর্যন্ত
লেখার জন্য নিয়োজিত করেন।
No comments:
Post a Comment